কমলা জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য একটি শীতকালীন ফল। সহজলভ্যতার কারণে বর্তমানে এটি সারা বছরই পাওয়া যায় এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। তাই এটি আর এখন বিদেশী কোন ফল নয়। জনপ্রিয় এই ফলটির পুষ্টিগুণ কি আমরা সবাই কি জানি? আসুন জেনে নেই কমলা ও এর খোসার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে
০ দৈনিক আমাদের যতটুকু ভিটামিন 'সি' প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই ১টি কমলা থেকে সরবরাহ হতে পারে।
০ কমলাতে উপস্থিত এন্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেল ড্যামেজ করে ফলে ত্বকে সজীবতা বজায় থাকে।
০ কমলাতে উপস্থিত এন্টি অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায়তা করে।
০ কমলাতে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
০ কমলাতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, যা দাঁত ও হাঁড়ের গঠনে সাহায্য করে।
০ কমলাতে ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে বস্নাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
০ কমলাতে উপস্থিত পটাশিয়াম ইকেট্রোলাইট ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম ভালো রাখতে সহায়তা করে।
০ গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, কমলাতে উপস্থিত লিমিণয়েড, মুখ,ত্বক, ফুসফুস,পাকস্থলী কোমল ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।
০ কমলা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে।
০ কমলাতে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে ওজন কমাতেও সহায়তা করে।
০ ১০০ গ্রাম কমলাতে আছে: ভিটামিনি বি-০.৮ মি.গ্রাম, ভিটামিন সি-৪৯ মি:গ্রাম,ক্যালসিয়াম-৩৩ মি:গ্রাম, পটাসিয়াম-৩০০ মি:গ্রাম, ফসফরাস-২৩ মি:গ্রাম।
কমলালেবু খাওয়ার পর সাধারণত আমরা এর খোসা ফেলে দেই। কারণ আপাত দৃষ্টিতে এর কোনো গুণাগুণ আমরা খুঁজে পাই না। কিন্তু অনেকেই জানি না যে এই কমলার খোসার রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুন ও ব্যবহার।
অন্যান্য অনেক ফলের খোসার চেয়ে কমলার খোসার গুনাগুন অনেক বেশি। এমনকি দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজেও কমলার খোসা ব্যবহার করা যায়। অথচ আমরা না জেনেই এত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন কমলার খোসা অপচয় করি। আসুন জেনে নেই দৈনন্দিন জীবনে কমলার খোসার দারুন সব ব্যবহার।ত্বকের যত্নে কমলার খোসা:
কমলার খোসা ত্বকের কমনীয়তা রক্ষায় অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটা ত্বকের তেলের ভারসাম্য ঠিক রাখে এবং ত্বককে মসৃণ, নরম করে তোলে। তবে কমলার খোসা সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা যায় না। ত্বকের জন্য আপনাকে তাজা কমলার খোসার সাথে যোগ করতে হবে ডাল বাটা। মুসুরের ডাল বেটে নিয়ে এতে কমলার খোসা বাটা ভালো করে মিশিয়ে নিয়মিত ত্বকে প্রয়োগ করলে ত্বক মসৃণ ও নরম হবে। এতে করে মুখের দাগও দূর হবে।
ব্রনের সমস্যা দূর করতে কমলার খোসা:
কমলার খোসাতে বিদ্যমান অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে মুখের ব্রণের সমস্যা দূর করে। একটি গোটা কমলার খোসা ১ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে নিন। ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করলে সহজেই ব্রনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
দাঁত সাদা করতে কমলার খোসা:
সবচাইতে ভালো ও প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে পারেন কমলার খোসা দিয়ে। শুধু কমলার খোসার ভেতরের দিকে একটু পানি ছিটিয়ে দিয়ে দাঁত ঘষে নিন। দাঁতের হলদে ভাব দূর হবে নিমিষেই। আপনি চাইলে কমলার তাজা খোসা বেটে নিয়ে পেস্টের মতো ব্যবহার করতে পারেন।
এর পরে যখনই কমলালেবু খাবেন সাথে সাথে এর খোসা সংরক্ষণ করে রাখুন। যাতে এটি আপনি আপনার সৌন্দর্য রক্ষার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
****************************************************************
No comments:
Post a Comment